PM Vishwakarma Yojana
গ্রামীণ ও শহুরে ভারতের প্রথাগত শিল্পী ও কারিগরদের সহায়তায় নতুন কেন্দ্রীয় প্রকল্প ‘পিএম বিশ্বকর্মা’-য় অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার
গ্যারান্টি ছাড়াই এককালীন ৩ লাখ ঋণ, প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনায়
হাইলাইটস
·
বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকা হস্তশিল্পীদের জন্য সুবিধার জন্য চালু করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা
·
সমস্ত দেশবাসী, যাঁরা চিরাচরিত নানা শিল্পকর্মের সঙ্গে যুক্ত তাঁরাই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন
·
এই প্রকল্পটিতে খুব সামান্য পরিমাণ সুদে তিন লাখ টাকা ঋণ পাওয়ার সুযোগ পাবেন এই শিল্পীরা
বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকা হস্তশিল্পীদের জন্য সুবিধার জন্য চালু করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা। সমস্ত দেশবাসী, যাঁরা চিরাচরিত নানা শিল্পকর্মের সঙ্গে যুক্ত তাঁরাই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। এই প্রকল্পটিতে খুব সামান্য পরিমাণ সুদে তিন লাখ টাকা ঋণ পাওয়ার সুযোগ পাবেন এই শিল্পীরা।
কারা সুবিধা পাবেন?
স্বাধীনতা দিবসের ভাষণেই এই প্রকল্পের কথা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিশ্বকর্মা পুজোর দিনেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বিশ্বকর্মা যোজনা। বিভিন্ন হস্তশিল্পর সঙ্গে যুক্ত ছাড়াও শ্রমজীবী অনগ্রসর মানুষের জন্য এই প্রকল্প। আগামী দিনে, ধোপা, নাপিত, স্বর্ণকার সহ আরও অনেকেই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন ।
দেশের বিভিন্ন শিল্পী এবং হস্তশিল্পীদের সাহায্য করাই এর প্রধান উদ্দেশ্য। এতে এই শিল্পীরা দুটি পর্যায়ে মাত্র ৫ শতাংশ সুদের হারে ঋণ পেতে পারেন প্রথমে ১ লাখ এং পরে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে। প্রথম দফার ঋণের সময় ১৮ মাস এবং দ্বিতীয় দফার ঋণ পরিশোধ করার সময় থাকবে ৩০ মাস। এই শিল্পীদের দেওয়া হবে ‘স্কিল ডেভলপমেন্ট’ ট্রেনিং। সেই সময়ে প্রতিদিন ৫০০টাকা করে ভাতা, জিনিসপত্র কেনার জন্য ১৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরোহিত্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটি আজ নতুন কেন্দ্রীয় প্রকল্প ‘পিএম বিশ্বকর্মা’-র অনুমোদন দিয়েছে। এই প্রকল্পে ৫ বছরের জন্য (আর্থিক বছর ২০২৩-২৪ থেকে আর্থিক বছর ২০২৭-২৮) ব্যয় বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১৩ হাজার কোটি টাকা। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল, যেসব কারিগর ও শিল্পী গুরুশিষ্য পরম্পরায় বা পরিবারগতভাবে হাতের কাজ এবং ছোটোখাটো সরঞ্জাম নিয়ে কাজ করেন, তাঁদের লালন করা ও শক্তি যোগানো। এই প্রকল্প পণ্যের গুণমান বৃদ্ধি এবং তার নাগাল বাড়াতে সাহায্য করবে, একইসঙ্গে বিশ্বকর্মারা যাতে অভ্যন্তরীণ ও বিশ্বব্যাপী মূল্যশৃঙ্খলের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারেন, তাও নিশ্চিত করবে।
পিএম বিশ্বকর্মা প্রকল্পের আওতায় শিল্পী ও কারিগরদের শংসাপত্র ও পরিচয়পত্র দিয়ে স্বীকৃতি জানানো হবে। তাঁদের ৫ শতাংশ ভর্তুকি সুদে প্রথম দফায় ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় দফায় ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছাড়যুক্ত বিশেষ ঋণ দেওয়া হবে। এছাড়া এই প্রকল্পে দক্ষতা উন্নয়নের ব্যবস্থা, সরঞ্জামের জন্য উৎসাহ, ডিজিটাল লেনদেনের জন্য উৎসাহ এবং বিপণন সংক্রান্ত সহায়তা দেওয়া হবে।
দেশজুড়ে বিভিন্ন শহর ও গ্রামের শিল্পী এবং কারিগররা এই সহায়তা পাবেন। প্রাথমিকভাবে পিএম বিশ্বকর্মা প্রকল্পের আওতায় ১৮টি প্রথাগত বৃত্তিকে আনা হয়েছে। এগুলি হল
- ১) কাষ্ঠ শিল্পী (ছুতোর);
- ২) নৌকা প্রস্তুতকারক;
- ৩) অস্ত্র প্রস্তুতকারক;
- ৪) লৌহ শিল্পী (কামার);
- ৫) হাতুড়ি ও সরঞ্জাম নির্মাতা;
- ৬) তালার মিস্ত্রি;
- ৭) স্বর্ণ শিল্পী (স্যাকরা);
- ৮) মৃৎ শিল্পী (কুমোর);
- ৯) ভাস্কর;
- ১০) চর্মকার;
- ১১) রাজমিস্ত্রি;
- ১২) ঝুড়ি/মাদুর/ঝাঁটা নির্মাতা;
- ১৩) পুতুল ও খেলনা প্রস্তুতকারক (প্রথাগত);
- ১৪) কেশ শিল্পী (নাপিত);
- ১৫) মালি (মালাকার);
- ১৬) রজক (ধোপা);
- ১৭) পোশাক প্রস্তুতকারক (দর্জি) এবং
- ১৮) মাছ ধরার জাল নির্মাতা।