Tuesday, 12 July 2016

জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে অভিযোগের সামান্যতম প্রমাণও মেলেনি : ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা সহ 3টি প্রবন্ধ আপনার ইমেইলে পাঠানো হয়েছে

জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে অভিযোগের সামান্যতম প্রমাণও মেলেনি : ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা সহ 3টি প্রবন্ধ আপনার ইমেইলে পাঠানো হয়েছে

Link to QuranerAlo.com – কুরআনের আলো ইসলামিক ওয়েবসাইট

জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে অভিযোগের সামান্যতম প্রমাণও মেলেনি : ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা

Posted: 12 Jul 2016 04:14 AM PDT

ভারতীয় ইসলামিক স্কলার জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে উসকানির অভিযোগের সামান্যতম প্রমাণও পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে মহারাষ্ট্র স্টেইট ইন্টেলিজেন্স ডিপার্টমেন্ট (এসআইডি)। দেশে ফিরলে তাকে গ্রেফতার করা হবে না বা তাকে গ্রেফতারের কোন কারণ নেই বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। ভারতের প্রভাবশালী গণমাধ্যম ‘দ্য হিন্দু’র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এসআইডি’র সিনিয়র এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তের অংশ হিসেবে ভারতে এবং ভারতের বাইরে দেয়া জাকির নায়েকের শত শত বক্তৃতার ইউটিউব ভিডিওসহ অন্যান্য তথ্যাদি পরীক্ষা করেছে সংস্থাটি। যেখানে আইসিসের প্রসারে তার বক্তৃতা প্রভাব ফেলেছে বলে দাবি উঠেছে, সেই হায়দ্রাবাদের গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা থেকে তথ্য উপাত্ত নিয়ে সেগুলিও যাচাই করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর্যবেক্ষণ উপর মহলকে জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

“ইংরেজীভাষী এই ধর্ম প্রচারকের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগেরই প্রমাণ মেলেনি। শুধুমাত্র যে সম্ভাব্য বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া যায়, সেটি হলো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া। কিন্তু সেটিও তার বক্তৃতা থেকে প্রমাণ করা সম্ভব না। আমরা তার গতিবিধি নজরে রেখেছি। যদি তিনি তার অবস্থান থেকে কখনও সরে যান, কেবলমাত্র তখনই তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আনা সম্ভব। আপাতত, আমরা শুধু পর্যবেক্ষণে রেখেছি তাকে।”

hindu_report

Original article link: http://www.thehindu.com/todays-paper/state-intelligence-dept-gives-clean-chit-to-naik-no-arrest-on-his-return-to-india/article8837594.ece

মুম্বাইয়ে জাকির নায়েকের সমর্থকরা বলেছেন, তার বিরুদ্ধে আনা একটি অভিযোগও সঠিক নয়। তার আইনজীবী মুবিন সোলকারের দাবি, তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগেরই সত্যতা নেই। এমনকি ‘ঘৃণা ছড়ানো’র অভিযোগও পুরোপুরি মিথ্যা। সন্ত্রাসবাদে উস্কানি দেয়ার অভিযোগের তো প্রশ্নই ওঠে না। – See more at: http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/135027#sthash.e0EztsrZ.dpuf


 

পিসটিভি বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে দূরদর্শিতার পরিচয় দিন
– আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
————————————–
বাংলাদেশের মন্ত্রী পরিষদ কর্তৃক Peace tv বন্ধের সিদ্ধান্তের নিউজ শুনে সচেতন মানুষ মাত্রই হতবাক হয়েছে। বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়েছেএর গুণমুগ্ধ দর্শকগণ!!
বাংলাদেশের বিশাল একটা জনগোষ্ঠী এই টিভির নিয়মিত দর্শক। দেশের উচ্চবিত্ত পরিবার থেকে শুরু করে নাপিতের দোকানেও এ টিভি চলতে দেখা গেছে।
প্রখর মেধাবী, ম্যারাথন বক্তা ও চৌকশ দাঈ ডাক্তার জাকির নাইকের চমৎকার উপমা, অখণ্ডনীয় যুক্তি আর বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে অনর্গল রেফারেন্স সমৃদ্ধ বক্তৃতা মানুষ মন্ত্রমুগ্ধের মত শুনত। অসংখ্য মানুষ এই চ্যানেলের মাধ্যমে অন্যায়-অপকর্ম ছেড়ে সৎপথে এসেছে। অগণিত অন্ধকার পথের যাত্রী আলোর পথের সন্ধান পেয়েছে। অসংখ্য অমুসলিম এই চ্যানেলেরর মাধ্যমে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করে ধন্য হয়েছে।

বিশেষ করে পিস টিভির বাংলায় বাংলাভাষী দাঈদের কুরআন-সুন্নাহ ও সহীহ আকীদা নির্ভর বিভিন্ন লেকচার থেকে মানুষ অনেক উপকৃত হয়েছে এতে কোন সন্দেহ নাই।

সরকারের এ সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশে অবস্থানকারী টিভি দর্শকগণ এটি দেখা থেকে বঞ্চিত হলেও ইন্টারনেট আর অবাধ তথ্য প্রবাহের যুগে কোন ক্রমেই মানুষকে সত্যের আওয়াজ থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।

সত্যানুসন্ধিৎসু মানুষ সত্যের পথটি খুঁজে নিবে- মোবাইল মেমরী, Peace Mobile, ইন্টারনেট ইত্যাদি অসংখ্য আধুনিক মিডিয়া থেকে। কোটি কোটি বাংলাদেশী বিদেশ থেকে পিস টিভি দেখছে..এগুলো বন্ধ করা তো আর সম্ভব নয়। তাহলে কেন এই ধরণের একটি হঠকারী সিদ্ধান্ত?
এভাবে কি সরকার জঙ্গিবাদ দমন করতে পারবে?

বরং পিস টিভিকে কাজে লাগিয়েই সরকার সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে সহায়তা নিতে পারত। কিন্তু তা না করে বরং এ ধরণের ভুল সিদ্ধান্তই হয়ত সন্ত্রাসী মনোভাবকে উসকিয়ে দিতে পারে। কেননা, মানুষের হৃদয়ের পঞ্জিভুত হতাশা ও ক্ষোভ সন্ত্রাস সৃষ্টির একটি অন্যতম কারণ।
———————-
তাই আশা করব, সরকারের মান্যবর মন্ত্রী পরিষদ পিসটিভি বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে দূরদর্শিতার পরিচয় দিবেন।

আল্লাহ আমাদের দেশকে সকল ফিতনা-ফ্যাসাদ থেকে হেফাজত করুন। সর্বোপরি ইসলামী দাওয়াহ, দাঈ, ইসলাম ও মুসলমানদেরকে রক্ষা করুন সকল ষড়যন্ত্রের কবল থেকে। আমীন।

বিদেশীদেরকে হত্যার ব্যাপারে ফতোয়া

Posted: 11 Jul 2016 07:03 AM PDT

অনুবাদক: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল

8672492467_af5ee31f70

প্রশ্ন: সম্মানিত শাইখ, বিভিন্ন মুসলিম দেশে বিদেশীদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে যে সকল আক্রমণ পরিচালিত হচ্ছে- সেখানে কিছু মুসলিমও নিহত হচ্ছে, বিভিন্ন ভবন ও প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হচ্ছে আর যারা এগুলো করছে তারা এটিকে জিহাদ বলছে! এ সম্পর্কে আপনার মতামত কি?

উত্তর: আল হামদু লিল্লাহ-সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর।

♦ প্রথমত:

বিভিন্ন মুসলিম দেশে বিদেশীদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে যে সকল আক্রমণ পরিচালতি হচ্ছে এবং সেখানে কিছু মুসলিমও নিহত হচ্ছে-যেমনটি আপনি উল্লেখ করেছন- তা জিহাদ নয়। বরং তা সন্ত্রাস, বিশৃঙ্খলা, ধ্বংসাত্মক এবং কুৎসিত কর্ম। এ কাজ মূর্খতা ও জ্ঞানকাণ্ড হীনতার পরিচায়ক। কেননা, এ সকল বিদেশীরা মুসলিম দেশে নিরাপত্তা প্রাপ্ত। তারা অনুমতি ছাড়া এ দেশে প্রবেশ করে নি। সুতরাং হত্যা তো দূরে থাক প্রহার, সম্পদ লুণ্ঠন সহ তাদের প্রতি কোন ধরণের অন্যায় আচরণ করার সুযোগ নাই। তাদের জান-মাল সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকবে।

যে ব্যক্তি তাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করবে সে মারাত্মক ধ্বংসাত্মক পরিণতির সম্মুখীন হবে। যেমনটি সহীহুল বুখারীতে প্রখ্যাত সাহাবী আমল ইবনুল আস রা. হতে বর্ণিত হয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

مَنْ قَتَلَ مُعَاهَدًا لَمْ يَرَحْ رَائِحَةَ الْجَنَّةِ وَإِنَّ رِيحَهَا لَيُوجَدُ مِنْ مَسِيرَةِ أَرْبَعِينَ عَامًا

"যে ব্যক্তি মুআহিদ তথা চুক্তিবদ্ধ ভাবে মুসলিম দেশে বসবাসকারী অমুসলিমকে হত্যা করবে সে জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না (জান্নাতে যাওয়া তো দূরে থাক) অথচ চল্লিশ বছরের রাস্তার দূরত্ব থেকেজান্নাতের সুঘ্রাণ পাওয়া যায়।"(সহীহুল বুখারী হা/৩১৬৬)

এই বিধান যিম্মী, মুআহিদ এবং মুস্তামিন সকলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। [1]

হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী রহ. ফাতহুল বারীতে বলেন, মুআহিদ বলতে এমন কাফিরকে বুঝায় যার সাথে মুসলিমদের সাথে চুক্তি আছে। চাই যিযিয়া (অমুসলিমদের উপর ইসলামী সরকারের পক্ষ থেকে অর্পিত কর) প্রদানের মাধ্যমে হোক কিংবা সরকারের সাথে যুদ্ধ বিরতির চুক্তির মাধ্যমে হোক বা সাধারণ কোন মুসলিমের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা প্রদানের মাধ্যমে হোক।.

"সাধারণ কোন মুসলিমের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা প্রদানের মাধ্যমে হোক।" এ কথার মাধ্যমে ইমাম ইবনে হাজার রহ. ফকিহদের নিকট সুপরিচিত একটি মূলনীতির দিকে ইঙ্গিত করেছেন। আর তা হল, "কেবল শাসক বা সুলতানের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা দেয়া শর্ত নয় বরং যে কোন সাধারণ মুসলিমের পক্ষ থেকেও নিরাপত্তা দেয়া জায়েজ রয়েছে।"

এই বিদেশীরা মুসলিম দেশে প্রবেশ করে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা কিংবা কোন মুসলিমের নিরাপত্তার মাধ্যমে। সুতরাং তাদের ক্ষতি সাধন করা কারও জন্য বৈধ নয় যদিও তারা মুহারিবীন তথা মুসলিমদের সাথে যুদ্ধরত কাফির হয়।

ইমাম বুখারী (হা/৩১৭১) ও মুসলিম (হা/৩৩৬) রহ. উম্মে হানী বিনতে আবী তালিব রা. থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট গেলাম। গিয়ে দেখলাম, তিনি গোসল করছেন আর তাঁর মেয়ে ফাতিমা রা. তাঁকে পর্দা দিয়ে ঘিরে রেখেছেন।

তারপর আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে সালাম দিলে তিনি জিজ্ঞেস করলেন: কে আপনি?

আমি বললাম: উম্মে হানী বিনতে আবী তালিব।

তিনি বললেন: উম্মে হানী, আপনাকে স্বাগতম।

অত:পর তিনি গোসল শেষ করে একটি মাত্র কাপড়ে শরীরে পেঁচিয়ে আট রাকআত নামায আদায় করলেন।

অত:পর আমি তাঁকে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল,আমার মায়ের বেটা (ভাই) আলী বলছে, সে হুবায়রার উমুক ছেলের সাথে লড়াই করবে অথচ আমি তাকে আশ্রয় দিয়েছি।

তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন:

قَدْ أَجَرْنَا مَنْ أَجَرْتِ يَا أُمَّ هَانِئٍ

"হে উম্মে হানী,আপনি যাকে আশ্রয় দিয়েছেন আমরাও তাকে আশ্রয় দিলাম।"

উম্মে হানী রা. বলেন, তখন ছিল অপরাহ্ণ।

ইবনে কুদামা রহ. বলেন,"আমাদের মধ্য থেকে যে কোন পুরুষ, নারী অথবা দাস কাফেরদেরকে নিরাপত্তা দিলে তা প্রযোজ্য হবে।"

মোটকথা,কোন যুদ্ধরত কাফিরকেও যদি নিরাপত্তা দেয়া হয় তবে তাকে হত্যা করা,তার সম্পদ হরণ করা বা তার কোন ধরণের ক্ষতি সাধন করা হারাম। প্রাপ্ত বয়স্ক ও সুস্থ মস্তিষ্ক সম্পন্ন যে কোন মুসলিম স্বেচ্ছায় এই নিরাপত্তা প্রদান করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে- চাই সে পুরুষ হোক বা নারী হোক,স্বাধীন হোক বা দাস হোক।

ইমাম সুফিয়ান সাওরী,ইমাম আওযায়ী,ইমাম শাফেয়ী, ইমাম ইসহাক, ইমাম ইবনুল কাসেম সহ অধিকাংশ বিদ্বানের এটাই অভিমত। (আল মুগনী ৯/১৯৫)

♦ দ্বিতীয়:

কোন মুস্তামিন (সাময়িকভাবে নিরাপত্তা প্রাপ্ত অমুসলিম) অথবা মুআহিদ (যুদ্ধ বিরতিতে চুক্তিবদ্ধ অমুসলিম) যদি চুক্তি ভঙ্গ করে তবে কোন সাধারণ মুসলিমের জন্য বৈধ নয়, তাকে হত্যা করা। কারণ, এতে নানা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে মুনাফিক সর্দার আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সুলুলকে হত্যা করা থেকে বিরত থেকেছেন এই ভয়ে যে, কাফিররা বলাবলি করবে, মুহাম্মদ তার সঙ্গী-সাথীদেরকে হত্যা করছে!!

তদ্রূপ কেউ যদি মুরতাদ তথা ইসলাম থেকে বের হয়ে যায় বা কেউ যদি মৃত্যুদণ্ড যোগ্য অপরাধ করে তবে সাধারণ কোন মুসলিমের জন্য তাকে হত্যা করা বৈধ নয়। (অর্থাৎ কোন সাধারণ মুসলিমের জন্য মৃত্যুদণ্ড প্রয়োগের অধিকার নেই। এটি সম্পূর্ণ মুসলিম সরকার ও আদালতের বিষয়)।

কেননা, এ ধরণের হত্যাকাণ্ড মুসলিমদের জন্য বিরাট সমস্যা ও বিপদ ডেকে নিয়ে আসে। দাওয়াতি কাজকে বাধাগ্রস্ত করে এবং দাঈদেরকে মারাত্মক চাপের মধ্যে ফেলে দেয়। সেই সাথে সুযোগ সন্ধানী স্বার্থান্বেষী মহল এ সব কর্মকাণ্ডকে ইসলাম ও মুসলিমদের বদনাম করার কাজে ব্যবহার করে।

♦ তৃতীয়:

নিরপরাধ মুসলিমদেরকে হত্যা করা একটি মারাত্মক অপরাধ এবং বিরাট গুনাহের কাজ। কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

زَوَالُ الدُّنْيَا أَهْوَنُ عَلَى اللَّهِ مِنْ قَتْلِ رَجُلٍ مُسْلِمٍ

"একজন (নিরপরাধ) মুসলিম হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার চেয়ে আল্লাহর নিকট সারা পৃথিবী ধ্বংস হওয়া সহজ বিষয়।" (তিরমিযী, হাদীস নং ১২৯৫, নাসাঈ, হাদীস নং ৩৯৮৭ ও ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ২৬১৯ –আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রা. হতে বর্ণিত)

সুতরাং এদের কার্যক্রম অন্ধকারাচ্ছন্ন। এর মূল কারণ হল, ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞতা, অসহিষ্ণুতাএবং বিজ্ঞ আলেমদের শরণাপন্ন না হওয়া। অথচ আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকেযে কোন সমস্যা ও সংকটে বিজ্ঞ আলেমদেরকে জিজ্ঞেস করার বা তাদের শরণাপন্ন হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

বড় বড় নির্ভরযোগ্য আলেমগণ এ সকল কার্যক্রমকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে সর্তক করেছেন। কারণ, একদিকে এগুলো মূলতই এগুলো হারাম কাজ। অন্য দিকে এসব অপকর্মের ফলে দেশে বিরাট বিশৃঙ্খলা দেখা দেয় এবং মুসলিমদের উপর নেমে আসে নানা সমস্যা।

সুতরাং সকলের জন্য অবশ্য কর্তব্য হল, মহান আল্লাহকে ভয় করা আর মুসলিমের দেয়া নিরাপত্তা লঙ্ঘন, অন্যায় রক্তপাত এবং মুসলিমদের উপর বিপদ-বিশৃঙ্খলা টেনে আনার ব্যাপারে কঠিন সতর্কতা অবলম্বন করা।

আল্লাহ সকলকে তাঁর পছন্দনীয় ও সন্তোষ জনক কাজ করার তাওফিক দান করুন। আমীন।

আল্লাহ সবচেয়ে ভাল জানেন।

♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥♥

বিদেশীদেরকে হত্যার ব্যাপারে ফতোয়া (ফতোয়া নং ১৩২৫২০)

উৎস: শাইখ সালিহ আল মুনাজ্জিদ কৃর্তক পরিচালিত islamqa.info

অনুবাদক আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল

লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সউদী আরব

দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব


টিকা:
[1]   ক. যিম্মী: (কর প্রদানের শর্তে মুসলিম দেশে বসবাসকারী অমুসলিম) অর্থাৎ এমন অমুসলিম যার সাথে এ মর্মে চুক্তি রয়েছে যে, মুসলিম দেশে নিরাপত্তার সাথে বসবাস করবে কিন্তু এর বিনিময়ে সে মুসলিম সরকারকে যিযিয়া (কর) প্রদান করবে।

খ. মুআহিদ: (যুদ্ধ বিরতির শর্তে মুসলিম দেশে বসবাসকারী অমুসলিম) অর্থাৎ এমন অমুসলিম যার সাথে এ মর্মে চুক্তি রয়েছে যে, সে মুসলিম দেশে বসবার করবে কিন্তু মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে না; মুসলিমগণও তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে না।

গ. মুস্তামিন: (সাময়িকভাবে নিরাপত্তার লাভ করে মুসলিম দেশে বসবাসকারী অমুসলিম) অর্থাৎ এমন অমুসলিম যার সাথে কর প্রদান বা যুদ্ধ বিরতির চুক্তি নেই কিন্তু সে বিশেষ প্রয়োজনে মুসলিম দেশে প্রবেশ করেছে। যেমন, ব্যবসা,চিকিৎসা,কূটনৈতিক সম্পর্ক কিংবা ইসলাম সম্পর্কে জানার উদ্দেশ্যে ইত্যাদি।

(আল্লামা মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল উসাইমীন কর্তৃক প্রদত্ব সঙ্গা অনুসারে)

উক্ত তিন শ্রেণীর অমুসলিমকে হত্যা করা, তাদের সম্পদ লুণ্ঠন করা কিংবা কোন ধরণের ক্ষতি সাধানের চেষ্টা করা ইসলামে সম্পূর্ণ হারাম এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।-অনুবাদক

বই – ডাঃ জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে আরোপিত অভিযোগ ও অপপ্রচারের জবাব

Posted: 11 Jul 2016 06:24 AM PDT

ডাঃ জাকির নায়েকের সমালোচনার জবাবে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম লেখা এক প্রমাণ্য গ্রন্থ

 

সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ ডঃ জাকির নায়েক মুসলিম বিশ্বের একজন প্রখ্যাত দায়ী। বিশেষ করে যখন আধুনিক শিক্ষিত নাস্তিক-মুরতাদ ও বিধর্মী আলেমগনগণ ইসলামের বিরুদ্ধে নানান প্রশ্ন ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দ্বার করিয়েছিল, সেই মুহুর্তে প্রয়োজন ছিল তাদের মতই শিক্ষায় শিক্ষিত একজন সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি।

এতোদিন ডাঃ জাকির নায়েক শুধু আলোচনার বিষয় থাকলেও এখন আলোচনার পাশাপাশি সমালোচনার বিষয়ও বটে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় বিভিন্ন ধরনের অসত্য এবং ভিত্তিহীন সমালোচনা করা হচ্ছে। মুসলিম উম্মাহর এই করুন সময়ে আমাদের কি করনীয় এবং ডাঃ জাকির নায়েকের সমালোচনার জবাবে এই প্রথম বই "ডাঃ জাকির নায়েক এবং আমরা" বইটি প্রকাশ করা হল। শত সহস্র ফিতনা ফাসাদের সময়ে যদি কেউ যদি সত্যের ওপর থাকেন, সত্য কথা বলেন তাহলে তো তাঁর বিরোধিতা হবেই। তিনি খ্রিস্টান, হিন্দু ধর্মের  ভুল প্রমান করে দিয়ে উগ্র হিন্দু ও খ্রিস্টান ও মুসলিম নামধারী ধর্ম ব্যবসায়ীদের আক্রশের লক্ষ্য বস্তুতে পরিনত হয়েছেন।

এই বইটিতে যে সব বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছেঃ

  • ডাঃ জাকির নায়েক ও তার কার্যক্রম
  • ডাঃ জাকির নায়েকের ব্যাপারে অভিযোগ সমূহের গতি-প্রকৃতি
  • সমালোচকদের অভিযোগ ও তার জবাব
  • উত্তর দেওয়া হয়েছে যারা বলেন "জাকির নায়েক আলেম নন।" “তিনি পড়াশোনা করেছেন খৃষ্টান মিশনারী ও হিন্দুদের কলেজে” “(কুরান হাদিস নিয়ে অধ্যয়ন করার জন্য একজন অভিজ্ঞ শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে থাকা প্রয়োজন কিন্তু) তার কোন শিক্ষক নেই।” “পর্দার ব্যাপারে ডাঃ জাকির নায়েকের শিথীলতা। তার অনুষ্ঠানে পুরুষ-মহিলাদের অংশগ্রহণ।” "ডাঃ জাকির নায়েকের অপব্যখ্যাঃ প্যান্ট-শার্ট-টাই পড়া জায়েজ"
  • তিনি গায়রে মুকাল্লিদ (আহলে হাদীস) সম্প্রদায়ের লোক হিসাবে এ সম্প্রদায়ের মতাদর্শের প্রছার-প্রশারকে নিজের মানুফেক্ট নির্বাচন করেন
  • বিভ্রান্তি গুলো যেভাবে ছড়ায়।
  • ডাঃ জাকির নায়েক সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর।

কোন দল মত এর পক্ষে থেকে নয়, বরং একজন সাধারণ মুসলিম হিসাবে চিন্তা করুন, যে বেক্তি কত সুন্দর ভাবে যুক্তি দিয়ে মানুষকে ইসলামের দিকে দাওয়াত দিচ্ছেন, যে বেক্তি কোটি কোটি মুসলিম কে ইসলাম নিয়ে চিন্তা ভাবনা করার জন্য উৎসাহ প্রদান করেছেন,  বিধর্মীদের কাছে ইসলামদের ভুল ধারণা দূর করেছেন, কত  বিধর্মীদের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করিয়েছেন এবং যারা তার বিরুদ্ধে বলেছেন তারা কতটূকু ইসলামদের জন্য কাজ করেছেন? তাদের কি অধিকার আছে এই ফেতনা সৃষ্টি করার?  প্রশ্নের উত্তর আপনাদের উপর ছেরে দেওয়া হল।

ডাঃ জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে আরোপিত অভিযোগ ও অপপ্রচারের জবাব – QA Server

ডাঃ জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে আরোপিত অভিযোগ ও অপপ্রচারের জবাব – Mediafire

ইসলাম সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে প্রত্যাখ্যান করে

Posted: 10 Jul 2016 07:05 PM PDT

এই প্রবন্ধটি ২০১৩ সালে প্রকাশ করা হয়েছিল।  আমাদের অনেকেই ইমেইল করেছেন বিষয়টি নিয়ে কিছু বলার জন্য, তাই প্রবন্ধটি আবার প্রকাশ করা হল।

সংকলক: আলী হাসান তৈয়ব | সম্পাদনা : মো: আবদুল কাদের

ইসলাম যে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে সমর্থন করে না তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যে ধর্মের নামেই রয়েছে শান্তির সুবাস, যে ধর্মের নবীকেই প্রেরণ করা হয়েছে জগতবাসীর জন্য শান্তি ও রহমত স্বরূপ [ . পবিত্র কুরআনের সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত : ১০৭। ], সে ধর্ম সম্পর্কে এমন অপপ্রচার একান্তই বিদ্বেষপ্রসূত। ইসলাম বিদ্বেষী ভাইদের অপপ্রচারে যাতে সরলমনা মুসলিম ভাই-বোনেরা বিভ্রান্ত না হন, তাই আজ পবিত্র কুরআনে এদু'টি শব্দ কতভাবে এসেছে তা আলোচনা করে এ ব্যাপারে ইসলামের অবস্থান তুলে ধরার প্রয়াস পাব এ নিবন্ধে ইনশাআল্লাহ।

অনেক রাজনৈতিক নেতা ও চিন্তাবিদই আরবী 'উনুফ' বা 'সহিংসতা' (Violence) শব্দ ও 'ইর'আব' বা 'আতঙ্কসৃষ্টি' (Terrorism) শব্দের মধ্যে, তেমনি 'উনুফ' বা 'সহিংসতা' ও 'আল-ইর'আব আল-উদওয়ানী' বা 'আগ্রাসন' শব্দের মধ্যে এবং 'উনুফ' বা 'সহিংসতা' ও 'আল-ইর'আব আয-যরুরী' বা 'ত্রাস' শব্দের মধ্যে পার্থক্য করেন না।

বস্তুত বিদেশি শব্দ সন্ত্রাস বা Terrorism-এর আরবী প্রতিশব্দ 'ইরহাব' নয়; 'ইর'আব' . কেননা ('ইরহাব' শব্দের ধাতুমূল তথা) 'রাহ্ব' (الرهب) শব্দ ও তা থেকে নির্গত শব্দাবলি পবিত্র কুরআনে ত্রাস নয় বরং সাধারণ ভীতি-সঞ্চার অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাতে একটি নির্দিষ্ট বস্তুর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অর্থ মিশে থাকে। অন্যের বেলায় মানুষ শব্দটি ব্যবহার তার অনিষ্ট থেকে রক্ষা পাবার জন্য [ সূরা তাওবা : ৩৪; নাহল : ৫১; আম্বিয়া : ৯০; কাসাস : ৩২; হাদীদ : ২৭; হাশর : ১৩। ]। আর এ শব্দ কিন্তু 'র'ব' (الرعب) শব্দ থেকে ভিন্ন অর্থ বহন করে। কেননা 'র'ব' শব্দের অর্থ তীব্র ভীতি-সঞ্চার অর্থাৎ ত্রাস ও আতঙ্ক সৃষ্টি করা[ . সূরা আলে-ইমরান : ১৫১; আনফাল : ১২; আহযাব : ২৬; হাশর : ২। ] । মানুষ এ শব্দটিকে ব্যবহার করে অন্যকে শায়েস্তা করা এবং তাদের ওপর জুলুম চালানোর জন্য। আবার এর কতক সংঘটিত হয় উদ্দেশ্যহীন, অনির্দিষ্ট ও সম্পূর্ণ অজ্ঞাত কারণে[ইবন মানযুর, আল-বুসতানী। ] ।

তবে এতদসত্ত্বেও 'ইরহাব' ও ইর'আব' শব্দ আরবী ভাষায় ধাতুগতভাবে শুধু মন্দ বা শুধু ভালোর জন্য ব্যবহৃত হয় না। এদুটি এমন মাধ্যম যা ভালো বা মন্দের পক্ষাবলম্বন করে না। উভয় শব্দ সত্য প্রতিষ্ঠা ও অন্যায় প্রতিরোধ এবং নিপীড়িতের সাহায্যার্থে ব্যবহৃত হয়। তেমনি শব্দদুটিকে নিরপরাধ নিরস্ত্র মানুষের ওপর অত্যাচার, অন্যায়ভাবে মানুষের সম্পদ ও অধিকার হরণ এবং তাদের ভূমি দখলের জন্যও ব্যবহৃত হয়।

তবে 'উনুফ''ইরহাব' শব্দের মধ্যে সুস্পষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান। 'উনুফ' অর্থ চিন্তা, মতবাদ, দর্শন কিংবা সাধারণ বা বিশেষ উদ্দেশ্যে প্রকাশ্যে সহিংস মাধ্যম বা উপায় অবলম্বন করা। যেমন : আঘাত, শারীরিক নির্যাতন বা অস্ত্র ব্যবহার। পক্ষান্তরে 'ইরহাব' ও 'ইর'আব' শব্দদুটি এর চেয়ে ব্যাপক অর্থ বহন করে। কারণ তা হতে পারে সহিংস উপায়ে আবার হতে পারে অহিংস উপায়ে। যেমন :

আকার-ইঙ্গিতের মাধ্যমে ভয় দেখানো। (তাকে এভাবে ইঙ্গিতে জবাই করার ভয় দেখানো।) অথবা কথার দ্বারা ভয় দেখানো। যেমন : অর্থনৈতিকভাবে বয়কটের হুমকি, কঠোরতা আরোপের হুমকি, না খেয়ে মারার হুমকি কিংবা পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি ইত্যাদি। 'ইরহাব' ও 'ইর'আব' শব্দদুটি ভেটোর ক্ষমতা প্রয়োগ অথবা জালেমের নিন্দা প্রস্তাবে ভোট দেয়াকেও অন্তর্ভুক্ত করে। অসত্য অভিযোগ প্রচারের মাধ্যমেও 'ইরহাব' ও 'ইর'আব' সংঘটিত হতে পারে। যেমন : টার্গেট গোষ্ঠীর সুনাম ক্ষুণ্ন করতে বা তার বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়াতে অপপ্রচার ও প্রচলিত মিডিয়া যুদ্ধের কৌশল গ্রহণ করা।

এই 'ইরহাব' ও 'ইর'আব' কখনো হামলার শিকার ব্যক্তিকে তাৎক্ষণিক হত্যা করে না। বরং তাকে দীর্ঘ শাস্তি ও ধারাবাহিক নির্যাতন করে ধুঁকিয়ে ধুঁকিয়ে মারে। অর্থাৎ এ দুটি কখনো তৎক্ষণাৎ না মেরে ধীরে ধীরে মৃত্যু ডেকে আনে। এটি করা হয় তাকে গৃহহীন অবস্থা ও ক্ষুধার মুখে ঠেলে দেয়ার মাধ্যমে।

আমাদের চারপাশে লক্ষ্য করলে দেখা যায়, ব্যাপকার্থে যারা 'ইরহাব' ও 'ইর'আব' করছে- যার মধ্যে রয়েছে সত্য প্রতিষ্ঠা করা ও নির্যাতন প্রতিরোধ করা অথবা অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া ও অত্যাচারীকে আশ্রয় দেয়া- এরা প্রধানত তিন দলে বিভক্ত। যথা :

১. যারা নীতি-নৈতিকতার বাইরে গিয়ে শব্দদুটিকে ব্যবহার করে তাদের নির্যাতন বা অন্যায়কে বৈধতা দেবার জন্য। আখিরাতে বিশ্বাসী হোক বা না হোক- এরা মানবস্বভাব ও ঐশী শিক্ষার বিরোধী। যার মধ্যে ইসলামের শিক্ষা ও আদর্শও রয়েছে।

২. যারা যথাসাধ্য প্রাকৃতিক নিয়মের মধ্যে থেকে শব্দদুটি ব্যবহার করে আত্মরক্ষা কিংবা অক্ষম ও নিরপরাধ লোকদের থেকে জুলুম প্রতিরোধের উদ্দেশে। তারা আখিরাত বা শাশ্বত জীবনে বিশ্বাস রাখে না। তারা এসব করে আল্লাহ প্রদত্ত সুস্থ বিবেকের তাড়নায়।

৩. যারা শব্দদুটি ব্যবহার করে আত্মরক্ষা বা অক্ষম ও নিরপরাধ লোকদের ওপর জুলুম প্রতিরোধে যথাসম্ভব শরীয়ত ও প্রাকৃতিক নিয়মের মধ্যে থেকে। তারা বিশ্বাস করে এজন্য তারা আখিরাত বা শাশ্বত জীবনে বিশাল প্রতিদান লাভ করবে। অতএব, তারা এসব করে সুস্থ বিবেক ও অনন্ত জীবনের বিশাল প্রতিদানের প্রত্যাশায়।

এ জন্যই দেখা যায় শেষোক্ত দলটি আত্মোৎসর্গ ও আত্ম নিবেদনে সবচে বেশি আগ্রহী ও সাহসী হয়। কেননা ,তার দৃষ্টিতে পার্থিব জীবন কেবল উসিলা বা বিধেয় মাত্র; মাকসাদ বা উদ্দেশ্য নয়। সম্ভবত এটিই মানুষকে নিজেদের সম্মানিত স্থান, নিজেদের মাতৃভূমি ও নিপীড়িত স্বজনদের রক্ষায় প্রাণোৎসর্গমূলক জিহাদী কার্যক্রমে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে।

সাধারণভাবে আত্মঘাতমূলক তৎপরতার ব্যাপারে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি ইসলামের আইন ব্যাখ্যাকারী তথা ফিকহবিদদের মতভিন্নতা হেতু বিভিন্ন হয়। তাদের অনেকে কাজটিকে বৈধ বলেন এবং এ কাজের প্রতি উদ্বুদ্ধও করেন। যতক্ষণ তা হয় আত্মরক্ষার্থে এবং অন্যায়ভাবে অন্যের ওপর সীমালঙ্ঘনের ইচ্ছে ছাড়া। উপরন্তু তা নিরপরাধ ব্যক্তির বিরুদ্ধেও পরিচালিত না হয়, যাদের ওপর ইসলাম যুদ্ধক্ষেত্রে পর্যন্ত হামলার অনুমতি দেয় না। যেমন : নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও নিরস্ত্র ব্যক্তি। অনুরূপভাবে সব রাজনৈতিক ব্যবস্থাতেই মানবরচিত আইন সেনাদেরকে নিজের দৃষ্টিতে বৈধ যুদ্ধক্ষেত্রে জীবনের ঝুঁকি নিতে এমনকি জীবন উৎসর্গ করতে পর্যন্ত উৎসাহিত করে। পক্ষান্তরে অনেক শরীয়তবিদ কাজটিকে আত্মহত্যার সঙ্গে তুলনা করে হারাম বলে অভিহিত করেন। তাদের মতে, জীবনের ঝুঁকি নেয়া ভিন্ন জিনিস। কারণ সেখানে জীবন রক্ষার সম্ভাবনাই প্রবল। তাছাড়া অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঝুঁকি গ্রহণকারীর মৃত্যুর কোনো অভিপ্রায়ই থাকে না।

আসমানী রিসালত বা ঐশী বার্তাপ্রাপ্ত ধর্ম পালনকারী ব্যক্তিমাত্রেই জানেন, দুনিয়ার এ জীবন মূলত একটি পরীক্ষাতুল্য। এর মাধ্যমে চিরস্থায়ী জীবনে পুরস্কারযোগ্য সৎকর্মশীল এবং অনন্ত জীবনে তিরস্কারযোগ্য অসৎ ব্যক্তির মধ্যে পার্থক্য রচনা করা হয়। আর সত্যপন্থী ও মিথ্যাপন্থীর সংঘাত এবং নিপীড়ক ও নিপীড়িতের দ্বন্দ্ব এ পরীক্ষার একটি অংশ মাত্র। আল্লাহ তা'আলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন,

وَلَوْلَا دَفْعُ اللَّهِ النَّاسَ بَعْضَهُمْ بِبَعْضٍ لَهُدِّمَتْ صَوَامِعُ وَبِيَعٌ وَصَلَوَاتٌ وَمَسَاجِدُ يُذْكَرُ فِيهَا اسْمُ اللَّهِ كَثِيرًا وَلَيَنْصُرَنَّ اللَّهُ مَنْ يَنْصُرُهُ إِنَّ اللَّهَ لَقَوِيٌّ عَزِيزٌ (40)

 

'আর আল্লাহ যদি মানবজাতির একদলকে অপর দল দ্বারা দমন না করতেন, তবে বিধস্ত হয়ে যেত খৃস্টান সন্ন্যাসীদের আশ্রম, গির্জা, ইয়াহূদীদের উপাসনালয় ও মসজিদসমূহ- যেখানে আল্লাহর নাম অধিক স্মরণ করা হয়।'[হজ : ৪০।]

 

'ইরহাব' ও 'ইর'আব' কখনো সংঘটনের ইচ্ছা ছাড়া সংঘটিত হতে পারে। ভুলক্রমেও হতে পারে কখনো। তবে এ ব্যাপারে তাকে সতর্ক করার পরও যদি সে এমন কাজ থেকে নিবৃত না হয়, যা 'ইরহাব' বা 'ইর'আব'-এর কারণ হয়, তখন তা ইচ্ছাকৃত 'ইরহাব' বা 'ইর'আব' বলেই গণ্য হবে।

ইসলাম যেহেতু মানুষকে দুনিয়া ও আখিরাতের ব্যাপক শান্তি কিংবা অন্তত নানা ধর্মের মানুষের মধ্যে শুধু দুনিয়ার শান্তির প্রতি আহ্বান জানায়। তাই এ ধর্ম অন্যের ওপর অত্যাচার বা সীমালঙ্ঘনমূলক 'ইরহাব''ইর'আব' সংঘটনকে কঠোরভাবে হারাম ঘোষণা করে। তীব্রভাবে একে প্রত্যাখান করে এবং সীমালঙ্ঘন বা উৎপীড়নমূলক 'ইরহাব' 'ইর'আব' এর জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করে।

হ্যা, ইসলাম এতদুভয়ের অনুমতি দেয় ঠিক; তবে তা শাস্তিকে অপরাধী পর্যন্ত সীমিত রাখা এবং অনুমোদিত ক্ষেত্র অতিক্রম না করার শর্তে। অনুমোদিত ক্ষেত্র হলো, আত্মরক্ষা, শত্রু দমন ও নির্যাতিতের সাহায্যের জন্য। বিশেষত জুলুম প্রতিরোধের কোনো ক্ষমতাই সেসব দুর্বল ও অক্ষম ব্যক্তির নেই। একেই ইসলামে 'জিহাদ'[যিনিই আরবী 'জিহাদ' শব্দ ও এর ধাতুমূল নিয়ে চিন্তা করবেন, দেখবেন তাতে পূর্বে সংঘটিত কোনো কিছুর প্রতিরোধ অর্থ লেপ্টে আছে। কোনো হামলার সূচনার অর্থ নেই তাতে। যেমন দেখতে পারেন, ইবনুল কায়্যিম : ৩/৫-৯।] অথবা 'কিতাল ফী সাবীলিল্লাহ' বলা হয়। যার উদ্দেশ্য কেবল নিরস্ত্র, অক্ষম ও দুর্বলদের থেকে জুলুম তুলে দেয়া। আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন,

وَمَا لَكُمْ لَا تُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ الَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنْ هَذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَل لَنَا مِنْ لَدُنْكَ وَلِيًّا وَاجْعَل لَنَا مِنْ لَدُنْكَ نَصِيرًا (75)

 

'আর তোমাদের কী হল যে, তোমরা আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করছ না! অথচ দুর্বল পুরুষ, নারী ও শিশুরা বলছে, 'হে আমাদের রব, আমাদেরকে বের করুন এ জনপদ থেকে' যার অধিবাসীরা যালিম এবং আমাদের জন্য আপনার পক্ষ থেকে একজন অভিভাবক নির্ধারণ করুন। আর নির্ধারণ করুন আপনার পক্ষ থেকে একজন সাহায্যকারী।'[নিসা : ৭৫।]

 

হাদীসে কুদসীতে আল্লাহ তা'আলা বলেন,

إِنِّى حَرَّمْتُ عَلَى نَفْسِى الظُّلْمَ وَعَلَى عِبَادِى فَلاَ تَظَالَمُوا.

 

'হে আমার বান্দা, আমি নিজের ওপর জুলুম হারাম করেছি এবং তোমাদের জন্যও একে হারাম করেছি। অতএব তোমরা একে অপরের ওপর জুলুম করো না।'[মুসলিম : ৬৭৪০।]

 

এ কারণেই মুসলমানদের ক্ষেত্রে এমন বিচিত্র নয় যে তারা তাদের প্রজা সাধারণ (যিম্মী) বা সংখ্যালঘুদের বাঁচাতেও জিহাদ করছে।[ইবন কুদামা মুকাদ্দেসী; ইবন তাইমিয়া হাররানী, আশ-শিরাজী; আল-হানাফী।] এককথায়, কারও ওপর জুলুম চালানোর জন্য নয়; ইসলামে 'জিহাদ' নামক বিধান রাখা হয়েছে বৈধ প্রতিরোধের জন্য। আর নির্যাতন প্রতিরোধের পদক্ষেপকে গণতান্ত্রিক ও অন্যান্য দেশের মানব রচিত সকল ব্যবস্থাই সমর্থন করে। এ উদ্দেশ্যেই তো সকল রাষ্ট্র শক্তিশালী সেনাবাহিনী গঠন করে। নিজেকে সুসজ্জিত করে বিধ্বংসী সব অস্ত্র দিয়ে।

আত্মরক্ষামূলক এবং আক্রমণাত্মক ভীতিপ্রদর্শনের মধ্যে পার্থক্য করবো কিভাবে
ইতোমধ্যে আমাদের সামনে স্পষ্ট হয়েছে, ভীতিপ্রদর্শন ও ভয় দেখানো শব্দটিকে সন্ত্রাসী (জালেম) ও সন্ত্রাসের শিকার (মাজলুম) উভয়েই ব্যবহার করে। এখন প্রশ্ন হলো, তাহলে আমরা এদুয়ের মধ্যে জালেম ও মজলুমকে পার্থক্য করবো কিভাবে?

আত্মরক্ষার্থে ভীতিপ্রদর্শন আর সন্ত্রাসমূলক ভীতিপ্রদর্শনের মধ্যে মোটাদাগে পার্থক্য এই :

অন্যের বিরুদ্ধে কে প্রথমে ত্রাস বা সন্ত্রাসের সূচনা করেছে? যে সূচনা করেছে সে চর্চা করছে আক্রমণাত্মক ভীতিপ্রদর্শন আর যিনি প্রতিরোধ করছেন তিনি হলেন আত্মরক্ষাকারী। একইভাবে যিনি জালেমকে বস্তুগত বা নৈতিকভাবে সমর্থন করবেন তিনি আক্রমণাত্মক ভীতিপ্রদর্শনকারীর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবেন। পক্ষান্তরে যিনি মজলুমকে সাহায্য করবেন তিনি আত্মরক্ষাকারী বলে গণ্য হবেন।
এটা ঠিক সচরাচর সহজে সূচনাকারী শনাক্ত করা যায় না। কারণ, জালেম পক্ষের গরিমা ও অহঙ্কার বেশি হয়। নিপীড়কের শক্তি হয় পর্বতপ্রমাণ। এমনকি মজলুমের চেয়ে জালেমের প্রমাণও হয় দৃঢ়তর। তথাপি বিষয়টি অন্যভাবে খোলাসা করা সম্ভব।
তবে সূচনাকারী শনাক্ত করা মুশকিল হলে অন্যভাবে তা চি‎হ্নিত করা যায়। যেমন আমরা উভয় পক্ষের মধ্যে মিমাংসার চেষ্টা করে দেখবো। যে পক্ষ ইনসাফভিত্তিক সালিশের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানাবে সে-ই জালেম, হোক সে মুসলিম। কারণ আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন,

وَإِنْ طَائِفَتَانِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ اقْتَتَلُوا فَأَصْلِحُوا بَيْنَهُمَا فَإِنْ بَغَتْ إِحْدَاهُمَا عَلَى الْأُخْرَى فَقَاتِلُوا الَّتِي تَبْغِي حَتَّى تَفِيءَ إِلَى أَمْرِ اللَّهِ فَإِنْ فَاءَتْ فَأَصْلِحُوا بَيْنَهُمَا بِالْعَدْلِ وَأَقْسِطُوا إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُقْسِطِينَ (9)

 

'আর যদি মুমিনদের দু'দল যুদ্ধে লিপ্ত হয়, তাহলে তোমরা তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দাও। অতঃপর যদি তাদের একদল অপর দলের ওপর বাড়াবাড়ি করে, তাহলে যে দলটি বাড়াবাড়ি করবে, তার বিরুদ্ধে তোমরা যুদ্ধ কর, যতক্ষণ না সে দলটি আল্লাহর নির্দেশের দিকে ফিরে আসে। তারপর যদি দলটি ফিরে আসে তাহলে তাদের মধ্যে ইনসাফের সাথে মীমাংসা কর এবং ন্যায়বিচার কর। নিশ্চয় আল্লাহ ন্যায়বিচারকারীদের ভালোবাসেন।'[সূরা আল-হুযরাত, আয়াত : ০৯।]

 

সন্ত্রাস ও আগ্রাসী হামলা কখনো ভিন্ন রূপ ধারণ করে। তা হলো, অভিযোগ প্রমাণ না করেই কোনো মানুষকে শাস্তি দেয়া। কিংবা কোনো ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগের ওপর নির্ভর করে একটি জাতিকে বা পুরো মানব সমাজকে শাস্তি দেয়া। এ কাজ ইসলাম কিছুতেই সমর্থন করে না। শাস্তি দিলে তা অবশ্যই অনুমোদিত সীমা অতিক্রম না করতে হবে। অভিযোগ প্রমাণের পরও শাস্তি থাকতে হবে যুক্তিগ্রাহ্য সীমারেখার ভেতর। পরন্তু শাস্তির প্রকৃতিও হওয়া চাই অভিন্ন। অত্যাচারী বা জালেমের ভিন্নতায় তা যেন ভিন্ন ভিন্ন না হয়। অতএব যালেম দুর্বল হলে বা মিত্র না হলে তার শাস্তি কঠোর হবে না। তেমনি যালেম শক্তিধর, মিত্র বা তার কাছে কোনো স্বার্থ থাকলে তার শাস্তি লঘু করা হবে না। সর্বদা শাস্তি হবে ইনসাফের আলোয় উদ্ভাসিত। কেননা আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে সর্বাবস্থায় ইনসাফের নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا كُونُوا قَوَّامِينَ لِلَّهِ شُهَدَاءَ بِالْقِسْطِ وَلَا يَجْرِمَنَّكُمْ شَنَآَنُ قَوْمٍ عَلَى أَلَّا تَعْدِلُوا اعْدِلُوا هُوَ أَقْرَبُ لِلتَّقْوَى وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا تَعْمَلُونَ (8)

 

'হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর জন্য ন্যায়ের সাথে সাক্ষদানকারী হিসেবে সদা দণ্ডায়মান হও। কোন কওমের প্রতি শত্রুতা যেন তোমাদেরকে কোনভাবে প্ররোচিত না করে যে, তোমরা ইনসাফ করবে না। তোমরা ইনসাফ কর, তা তাকওয়ার নিকটতর এবং আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় তোমরা যা কর, আল্লাহ সে বিষয়ে সবিশেষ অবহিত।'[সূরা আল-মায়িদা, আয়াত : ৮।]

 

তবে ইসলামের এসব সুস্পষ্ট নীতিমালা থাকার পরও মুসলিম নামধারী অনেকে ইসলামের মহান আদর্শকে উপেক্ষা করে। আল্লাহ তা'আলার নির্দেশ অমান্য করে তারা সন্ত্রাস ও আগ্রাসনের পথ বেছে নেয়। এটা স্বাভাবিক যে প্রতিটি রাষ্ট্রই তার নাগরিকদের সঠিক আচরণ শিক্ষা দেয়। তারপরও তো প্রতিটি দেশেই অপরাধীতে পূর্ণ অনেক কয়েদখানা থাকে। তাই বলে কি আমরা বলবো যে অমুক জাতি পুরোটাই অপরাধী? কিংবা অমুক জাতি তার সদস্যদের অপরাধ শিক্ষা দেয়? আমেরিকার এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ১৯৮২-১৯৯৬ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৭৫টি অন্যায় হামলা বা সন্ত্রাস সংঘটিত হয়েছে। এর অধিকাংশ সংঘটিত হয়েছে খ্রিস্টান দ্বারা, তারপর ইহুদিদের দ্বারা। তাই বলে কি আমরা বলবো সকল খ্রিস্টান বা সব ইহুদিই সন্ত্রাসী বা আগ্রাসী? অবশ্যই না।

অতএব আজ যারা ইসলামের সঙ্গে সন্ত্রাস বা জঙ্গিবাদের সম্পর্ক আবিষ্কার করতে চান, কুরআনের ভেতর অনুবীক্ষণ যন্ত্র নিয়ে মানবাধিকার পরিপন্থী কথা তালাশ করে হয়রান হন, তারা হয়তো অমুসলিমদের প্রচারে বিভ্রান্ত হয়ে কিংবা ইসলাম বিরুদ্ধ শক্তির প্রভাবে এমনটি করে থাকেন। ইদানীং মুসলিম নামধারী অনেককেও দেখা যায় ইসলাম-আরাতীদের কণ্ঠে কণ্ঠ মেলাতে। তাদের সুরে কথা বলতে। বরং ইসলামের অনিষ্ট চিন্তায় অমুসলিমদের চেয়ে এসব মুসলিম নামধারীরাই একধাপ এগিয়ে। তাদের জন্য থাকছে আমাদের বুকভরা ভালোবাসা, একরাশ করুণা আর অনন্ত শুভ কামনা। আল্লাহ তা'আলা তাদেরকে এবং সকল মুসলিমকে হেদায়াত দিন। সবাইকে ইসলাম বিরোধী শক্তির অপ্রচারের প্রভাব থেকে মুক্ত থাকার তাওফীক দিন। আমীন।

কৃতজ্ঞতা-স্বীকার : ড. সাঈদ ইসমাঈল চীনী, তাসাউলাত জাদালিয়্যাহ হাওলাল ইসলাম ও তালীকাত।

No comments:

FORM

// Data attributes data-tally-open="nWgJPR" data-tally-emoji-text="👋" data-tally-emoji-animation="heart-beat"...