Sunday, 27 March 2016

Ssc news

# আবার_ব্রেকিং
উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ নীতি সংশোধন, টেটের বরাদ্দ নম্বর ২০ থেকে বেড়ে হল ৪০
==========================
সৌম্যজিৎ সাহা, কলকাতা: উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে টেটের গুরুত্ব বাড়ানো হল। গতবারের নিয়োগ নীতি সংশোধন করে এবার টেটের বরাদ্দ নম্বর ২০ থেকে বাড়িয়ে ৪০ করা হল। অর্থাৎ, লিখিত পরীক্ষায় পুরো নম্বর পেলে একজন প্রার্থী ৪০-এ ৪০ পেতে পারবেন। স্কুলশিক্ষা দপ্তরের এই সিদ্ধান্ত আখেরে পরীক্ষার্থীদের সুবিধাই দেবে বলে মনে করছে শিক্ষামহলের একাংশ। টেটের বরাদ্দ নম্বর বৃদ্ধি করা হলেও, পার্সোনালিটি টেস্ট (পিটি) এবং প্রফেশনাল কোয়ালিফিকেশনের মোট নম্বর কমানো হয়েছে।
২০১৫ সালে উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগর জন্য নতুন নীতি তৈরি করেছিল স্কুলশিক্ষা দপ্তর। সেখানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের জন্য ১০ নম্বর এবং স্নাতকের জন্য ২০ নম্বর বরাদ্দ ছিল। সংশোধনী বিধিতে তার কোনও পরিবর্তন হয়নি। কিন্তু পার্সোনালিটি টেস্ট এবং প্রফেশনাল কোয়ালিফিকেশনের জন্য যেখানে ২০ করে বরাদ্দ ছিল, তাকে সংশোধন করেছে শিক্ষা দপ্তর। নতুন বিধি অনুযায়ী, এই দু'টি বিভাগে এবার থাকবে ১০ করে নম্বর।
এই লিখিত পরীক্ষার জন্য সাধারণত তিনটি বিভাগ থাকে। যেমন পেডাগগি, অঙ্ক এবং ভাষা। তিনটি মিলিয়ে মোট ১৫০ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় পরীক্ষার্থীদের। কেউ যদি তাতে পুরো নম্বর পান, তাহলে তিনি টেটের বর্ধিত নম্বর অনুযায়ী ৪০ পাবেনই। অর্থাৎ, চাকরির পরীক্ষায় একবারে ছাঁকা নম্বর পাওয়ার দারুণ সুযোগ থেকেই যাচ্ছে প্রার্থীদের। স্কুলশিক্ষা দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, লিখিত পরীক্ষায় বাড়তি গুরুত্ব দেওয়াই ছিল লক্ষ্য। কারণ এইসব ক্ষেত্রে একজন প্রার্থী যাতে নিজের যোগ্যতায় চাকরি পান, সেটাই কাম্য।
এদিকে, পার্সোনালিটি টেস্ট বা ইন্টারভিউয়ের বরাদ্দ নম্বর কমিয়ে দেওয়াটাকেও সমর্থন করছেন অনেকেই। ইতিপূর্বে এই শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে এই ক্ষেত্রেই। কারণ লিখিত পরীক্ষায় তো কোনও কারচুপি করা সম্ভব নয়। তাই 'পছন্দের' প্রার্থীদের নম্বর পাইয়ে দেওয়ার জন্য এই পার্সোনালিটি টেস্টকেই হাতিয়ার করা হত। তাতে ছিল ২০ নম্বর। কিন্তু তা ১০-এ নামিয়ে আনায় সেই সম্ভাবনাও অনেকটাই কমানো যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এ নিয়ে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির কলকাতা জেলার সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, এই সরকার নিয়মবিধি তৈরি করতে নাকানিচোবানি খাচ্ছে। একবার আইন তৈরি করে তারপর বারবার তা সংশোধন করছে। তবে এক্ষেত্রে সংশোধনী বিধি কতটা ভালো বা খারাপ হবে, তা বলার সময় আসেনি। কিন্তু যেভাবে নিয়ম পরিবর্তন করা হচ্ছে, তাতে বোঝাই যাচ্ছে এই সরকারের স্থিরতা নেই। আবার পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নবকুমার কর্মকারের বক্তব্য, লেখা পরীক্ষার উপর জোর দেওয়ার বিষয়টিকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। এতে দক্ষ এবং যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি পাওয়ার সুযোগ থাকবে। তবে পার্সোনালিটি টেস্টের নম্বর পাঁচ করলে আরও ভালো হত। তাতে আরও নিরপেক্ষতা বজায় থাকত।

No comments:

FORM

// Data attributes data-tally-open="nWgJPR" data-tally-emoji-text="👋" data-tally-emoji-animation="heart-beat"...